যে কারণে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে ধসে পড়ল যুদ্ধবিরতি চুক্তি
১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩ পিএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং তিনটি মধ্যস্থতাকারী দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, এবং মিসরের ব্যাপক প্রচেষ্টায় ছিল। এই চুক্তি অনুসারে গাজার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। কিন্তু গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সামরিক অভিযান, যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
চুক্তিটি তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম স্তরে, হামাসের কাছে আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলি কারাগারে থাকা হামাস বন্দিদের বিনিময় করা হবে, পাশাপাশি গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার শর্ত ছিল। দ্বিতীয় স্তরের শর্ত ছিল যে, হামাস সব বাকি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে। প্রথম পর্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্বে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে, তবে ইসরায়েল এতে রাজি নয়। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে, সেনাদের প্রত্যাহার করে নিলে হামাস পুনরায় গাজা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, যুদ্ধবিরতির শর্তগুলি আর কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর সেনা সদস্য ইদান আলেক্সান্দারসহ চার জন দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, হামাস এই ব্যক্তিদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে, কিন্তু হামাস তা অস্বীকার করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল, এবং এর মধ্যে গাজায় ফের ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
গত সোমবার রাত থেকে গাজার পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নতুন সামরিক অভিযানে ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ শ’ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানের কারণে ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যত শেষ হয়ে গেছে, এবং গাজায় সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ায় গাজার জনগণের জন্য পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। এই নতুন সামরিক অভিযান ও দ্বৈত নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির চেষ্টা চালালেও, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে উঠেছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিটি গঠন

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার

করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি

শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলামের ১৬৩ ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ

যুক্তরাজ্য থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ ক্রয় কমিটিতে ৭ প্রস্তাব অনুমোদন

আদালত চলতো হাসিনার নির্দেশে, মামলার রায় আসতো গণভবন থেকে: নুর

সার্টিফিকেট ইস্যু না করায় রিট জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’

দোহারের কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার শহরে উচ্ছেদের মুখে আতঙ্কগ্রস্থ হাজারো নারী-পুরুষ ঘরবাড়ি ও জমি রক্ষায় মানববন্ধন

কর্পোরেট জবাবদিহিতা ও পরিবেশগত ন্যায়বিচারের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের মন্তব্যে তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪১৩

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

জ্বালানি সচিব-তিতাসের এমডিকে আদালত অবমাননার নোটিশ

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র!

সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৫৪৯৪৫ টাকা

ঢাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আনোয়ারায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত-জড়িতদের বসতঘরে জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

বার্জার ও সিএমপি-এর উন্নত কোটিং প্রযুক্তি যমুনা রেল সেতুকে দিচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা